Wednesday, February 5, 2025
26 C
Dhaka
Home Blog Page 2

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গোয়ালন্দে যৌনকর্মীদের মানববন্ধন

0

[ad_1]

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:

নির্যাতন ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইমরান হোসাইন নামে একজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মানববন্ধন করেছে যৌনকর্মীরা। সোমবার (২৮ আগস্ট) বেলা বারোটার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন যৌনপল্লীর প্রধান ফটকের সামনে অসহায় যৌনকর্মীদের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শেফালী বাড়ীওয়ালীর মেয়ে খুশী আক্তার মানববন্ধনে বলেন, বৈশাখী নামে একটি মেয়ে আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো তার কাছে ইমরান নামের একটি লোক আসতো। ইমরান হোসাইন এর বন্ধু মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে জাল দলিল দিয়ে পাঠায় আমাদের বাড়ী দখল করতে। তখন আমরা গোয়ালন্দ ঘাট থানাকে বিষয়টি জানাই। থানা পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে ধরে নিয়ে গেলে ইমরান হোসাইন আমাদেরকে হুমকি দেয় যে, আমার কতো ক্ষমতা দেখবি? ওসিকে আমি বদলি করে তারপর তোদের বাড়ী দখল করবো। আমরা এই প্রতারকের হাত থেকে বাঁচতে চাই। এসমস্ত কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

যৌনকর্মীরা তাদের বক্তব্যে আরও অভিযোগ করে বলেন, আমরা ইমরান হোসাইনের নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দ্রুত ইমরান হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানায়। এসময় মানববন্ধনে যৌনপল্লীর কয়েক শতাধিক যৌনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাগেছে, মো. ইমরান হোসাইন ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার মো. হাবিবুর রহমান এর ছেলে। তবে সে এক এক সময় এক এক জায়গার পরিচয় দেন বলে জানাযায়।

এ ব্যাপারে ইমরান হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

[ad_2]

হাসপাতালে পেলেন শিক্ষক অবসর ভাতার চিঠি

0

[ad_1]

তিতাস চক্রবর্তী, খুলনা প্রতিনিধি:

হাসপাতালের বিছানায় বসেই পেলেন অবসর ভাতার চিঠি। অনাকাঙ্খিতভাবে চিঠি পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন অবসরে যাওয়া সহকারি শিক্ষক হরিদাস রায়। মূহুর্তের মধ্যে পরিবর্তন হলো তাঁর চেহারা। আনন্দ আর উচ্ছাস দেখা দিলো তার মধ্যে। এ সময় উপস্তিত ছিল তাঁকে দেখতে আসা সহকর্মী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা ও স্বজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে।

গতকাল সোমবার সকাল সকাল খুলনার স্থানীয় ক্লিনিকে দেখতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম ও তাঁর সহকর্মীরা। সাথে উপহার হিসাবে নিয়ে আসেন অবসর ভাতার চিঠি।নানা জটিলতায় পরে অবসর ভাতার চিঠি তুলে দেন হতাশাগ্রস্থ সহকারি শিক্ষক হারিদাস রায়ের হাতে।

চিঠি পেয়ে হরিদাস রায় বলেন, সত্যিই আজ আমি আনন্দিত। ১৯৮৬ সালে আমি যোগ দেই বটিয়াঘাটা জলমাকচুবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে(পিআরএল)যাই। ২০২৩ সালের ২২জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ অবসরে যাই।এরমধ্যেই আমার অবসরভাতা পাওয়ার কথা।কিন্তু আমি অবসর ভাতা পাইনি। যেহেতু এই স্কুলের জমি নাম জারিতে সমস্যা রয়েছে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অবসর ভাতা বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক হওয়ায় আমাকে এই সংকটে পরতে হয়েছে। আমি নাম জারি করার চেষ্টা করে প্রায় শেষের পথে নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পরেছি। আমার চার মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেটাপ্রতিবন্ধীহওয়ায় নগদ আয়ের পথ নেই বললে চলে। ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করাও প্রায় কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াতেপারে। তারমধ্যে এই উপহার পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, আমি ২৭ আগস্ট দাকোপে যাচ্ছিলাম। হঠাৎকরে ঠিক করলাম জলমাকচুবুনিয়া স্কুলটি পরিদর্শন করবো।

পরিদর্শন কালে প্রধান শিক্ষিকা নির্মলামন্ডল ঘটনাটিজানান এবং বলেন শিক্ষক হরিদাস রায় হাসপাতালের বিছানায়। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারকাছে জানতে চাই। তার কাছ থেকে শুনে সকল জটিলতা কটিয়ে চিঠি করার জন্য অফিসকে নির্দেশ দেই। সেই চিঠি নিয়েই আজ আমার সহকর্মীদের নিয়ে দিতেএসেছি। দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম আলমগীর বলেন, স্কুলের নাম জারি না হওয়ায়একটু সংকট হয়েছিল। তাঁরপর আমি ২৪ আগস্ট তাঁর অবসর ভাতার কাগজটি জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক সমিতির কো চেয়ারম্যানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। যতটুকু শুনেছি তিনি যশোরে থাকাকালেও এমন অনেক কাজ করেছেন।

[ad_2]

কমছে প্রবাসী আয় | Suprobhat Bangladesh

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নি‌লেও আশানুরূপ বাড়ছে না রেমিট্যান্স। ধারাবা‌হিক কম‌ছে প্রবাসী আয়। আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা ধরে) ১৪ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।
চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগস্ট মাস শেষে (৩১ দিনে) প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬৪ কোটি ডলার। এ অংক গত মাস ও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কম হবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আর আগের বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। রোববার (২৭ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ঢাকা পোস্ট।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১৪ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি। সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম-সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে।
পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেকারদের খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি
পরবর্তী নিবন্ধলিটনের ডেঙ্গু হলে এশিয়া কাপে যাবেন সাইফ

[ad_2]

সেনবাগে ডেংগু আক্রান্ত হয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু

0

[ad_1]

সেনবাগ (নোয়াখালী)প্রতিনিধি

ডেংগুতে আক্রান্ত হয়ে নুরুল আমিন প্রকাশ রাসেল (৩৫) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রাশেল সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউপির জিরুয়া গ্রামে পাটোয়ারী বাড়ীর ছেলে আহাম্মদ বাচ্চুর ছেলে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চট্টগ্রামের জিওসি মোড়ে এশিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়।সে চট্টগ্রামের বায়োজিদ বোস্তামীর সায়ন বিডি গার্মেসে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে চাকুরী করতো।

 

 নুরুল আমিন রাসেল গত ৬/৭ দিন আগে অসুস্থ্য হলে স্থানীয় চিকিৎসক কাছ থেকে ওষধ নিয়ে খেয়ে একটু সুস্থ্য হয়। শনিবার সকালে আবারোও অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার বোন বিউটি আক্তার তাকে চট্টগ্রামের মমতাময়ী হাসপাতালে ভর্তি করে। সে খানে তার কোন উন্নতি না হওায়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এশিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে ডাক্তার তার পরিক্ষা করে ডেংগু সনাক্ত হয়। রাত সাড়ে ১২ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল সে মারাযায়। বোববার বেলা ১১ টায় নীজ বাড়ীতে দাপন সম্পন্ন হয়।  

 

 

[ad_2]

উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি পাটের দাম

0

[ad_1]

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট।  দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর হিসেবে পরিচিতি এখনো রয়েছে। সোনালী আঁশের পাট বন্দরটি এখন সোনালী অতীত হয়ে আছে।  এবারের চলমান মৌসুমে বন্দরে পাট কেনা বেচা চলছে। এখনো সরকারী বা বেসরকারী কোন পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি। ব্যবসায়ীরা  পাট কোথায় আর কাদের কাছে বিক্রি করবে তা নিয়ে চিন্তিত। 

 উৎপাদিত পাট হাটে বিক্রি করতে এসে পাটচাষীদের মাথায় হাত। আশা করেছিলেন গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু, সেই স্বপ্ন তাদের পুরণ হয়নি। তাই পাট আবাদে বিমুখ হচ্ছেন এই উপজেলার কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বেশি এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।

গত বছরের তুলনায়  কম দামে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি করেছিলেন ৪ হাজার  টাকা দরে। এ বছর পাট বিক্রি করতে হয়েছে ২ হাজার  টাকা থেকে ২২০০  টাকা মণ দরে।

উপজেলার প্রান্তিক পাটচাষী জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে পাটচাষ করে ফলন পেয়েছেন ১৭ মণ। খরচ হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। গত বছর ৩ বিঘা জমি থেকে পাট পেয়েছিলেন ১৯ মণ আর খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা।

এ বছর তেল, সার, কীটনাশকের দাম ও শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তারা  বলেন, ‘পাট চাষ করে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।’

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্না ইয়াছমিন সুমি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ২০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। গত বছর ১৬ শত হেক্টর জমিতে  আবাদ হয়েছিল চলতি বছরে ১৬ শত ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। চাষীদের এ চাষাবাদে বিনামূল্যে বীজসহ মাঠ পর্যায়ে নানা ধরনের পরার্মশ ও সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে উঁচু, নিচু, পতিত জমিতে কৃষকদের পাট চাষাবাদে উৎসাহিত ও পরার্মশ দিয়েছি। কৃষকরা পরার্মশ মতে পাট চাষাবাদ করেছেন। আশা করছি এবার ভাল ফলনও পেয়েছে।

[ad_2]

সর্বজনীন পেনশন : নিবন্ধনে এগিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা সবার নিচে থাকলেও জনপ্রতি গড় চাঁদা দেওয়ায় সবার ওপরে রয়েছেন তারা। আর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সবার ওপরে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা জনপ্রতি গড় চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা- এই চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করেছে সরকার। শুরুতেই এ পেনশন স্কিমে মানুষের বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম সপ্তাহেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁদার কিস্তি পরিশোধ করার তালিকায় সব থেকে বেশি রয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। মোট যে সংখ্যক মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন, তার অর্ধেকের বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। অপরদিকে সব থেকে কম নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন প্রবাসীরা। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাদের মধ্যে এককভাবে চাঁদা দেওয়ায় সবার ওপরে রয়েছেন প্রবাসীরা। প্রথম সপ্তাহে যেসব প্রবাসী নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন, তাদের জমা দেওয়া গড় চাঁদার পরিমাণ ২০ হাজার টাকা।
স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রতি গড় চাঁদা দেওয়ায় সবার নিচে রয়েছেন দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীরা। তাদের জন্য চালু করা স্কিমে জনপ্রতি গড়ে চাঁদা জমা পড়েছে এক হাজার ৪৪৪ টাকা। অবশ্য সবকয়টি স্কিমেই গড়ে জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ, ঐ স্কিমের মাসিক সর্বোচ্চ চাঁদার পরিমাণের থেকে বেশি। এর কারণ হলো সবকয়টি স্কিমের জন্য চাঁদার কিস্তি চাঁদাদাতার পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া অগ্রীম চাঁদা দেওয়ার সুযোগও আছে। এ কারণে মাসিক চাঁদার সর্বোচ্চ হারের তুলনায় জমাপড়া গড় চাঁদার পরিমাণ বেশি।
গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এর পরই প্রবাসী স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিমের আবেদন শুরু হয়। উদ্বোধনের পর প্রথমদিনেই নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেন এক হাজার ৭০০ জন। তারা প্রায় ৯০ লাখ টাকা চাঁদা জমা দেন। পরের দুইদিনে আরো ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি চাঁদা পরিশোধ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম তিনদিনেই নিবন্ধন করে করে চাঁদা পরিশোধের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৯০ জনে। আর তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
পরের পাঁচদিনে নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন আরও ৪ হাজার ৩৯০ জন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৮ হাজার ৫৫১ জন। আর তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৪ কোটি ৩৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এর মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য চালু করা প্রগতি স্কিমে নিবন্ধন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৪ হাজার ৫১৯ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ জনপ্রতি গড়ে চাঁদা দিয়েছেন ৫ হাজার ৫২১ টাকা। এই স্কিমে মাসিক চাঁদার হার সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা।
অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি প্রভৃতি পেশার ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিম গ্রহণ করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ২ হাজার ৯০৭ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ জনপ্রতি জমা করা চাঁদার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৪ টাকা। এই স্কিমে মাসিক চাঁদার হার সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। খবর ডেইলি বাংলাদেশ।
যার বর্তমান আয় সীমা বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা তাদের জন্য চালু হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৯১০ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ জনপ্রতি গড়ে চাঁদা দিয়েছেন এক হাজার ৪৪৪ টাকা। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার হার এক হাজার টাকা। এর মধ্যে স্কিম গ্রহণকারী চাঁদা দেবেন ৫০০ টাকা এবং বাকি ৫০০ টাকা দেবে সরকার।
এছাড়া প্রবাসীদের জন্য চালু করা প্রবাস স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ২১৫ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। জনপ্রতি গড় চাঁদার পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। এই স্কিমে মাসিক চাঁদার হার সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে পেনশনারের নমিনি পেনশন স্কিম গ্রহণকারীর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগেই মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তা নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেবল তার জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন। একই সঙ্গে মাসিক পেনশন বাবদ পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটলিউডে সিনেমা করবেন ইধিকা!
পরবর্তী নিবন্ধঅন্ত্রের সঙ্গে জটিল স্নায়ুর রোগের যোগ আছে কি?

[ad_2]

ভোলায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু

0

[ad_1]

অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা:

ভোলায় অটোরিকশার চার্জের সংযোগ খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মো: শাহীন (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর রমেশ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শাহীন একই গ্রামের মোঃ কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।

স্থানীয় প্রতক্ষদর্শীরা জানান, সকালে প্রতিদিনের মতো চার্জে থাকা অটোরিকশার বিদ্যুৎ সংযোগ খুলতে যায় চালক শাহীন। এসময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। পরিবারের লোকজন আহত শাহীনকে উদ্ধার করে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহীন ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় শাহীনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

[ad_2]

৪৩ পণ্যে নগদ সহায়তার ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

রফতানি বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি পণ্যের জন্য নগদ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। ২০২৩ অর্থবছর অনুযায়ী, রফতানিকারকরা ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে এই নগদ সহায়তা পাবেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৪৩টি পণ্য রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। এই ৪৩টি পণ্য গত বছরও একই রকম সহায়তা পেয়েছিল। খবর ঢাকামেইল’র।
সার্কুলার অনুযায়ী, দেশীয় বস্ত্র খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য, নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে রফতানি, তথ্যপ্রযুক্তি বা আইসিটি খাতের ব্যক্তিগত ফ্রিল্যান্সারদের সেবা ও পণ্য, কৃষিপণ্য এবং দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল, এর যন্ত্রাংশ, এমএস স্টিল, সিমেন্ট শিট রফতানিতে ৪ শতাংশ সুবিধা দেওয়া হবে। এর বাইরে ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বস্ত্র খাতের রফতানিকারকদের অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ সুবিধা দেওয়া হবে। ফলে তারা স্বাভাবিক ৪ শতাংশসহ মোট ৬ শতাংশ সহায়তা পাবেন। তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকদের বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ১ শতাংশ। তবে এটি সব খাতে প্রযোজ্য নয়।
কৃষিপণ্য, শাক-সবজি, ফলমূল, প্রক্রিয়াজাত করা কৃষিপণ্যে ২০ শতাংশ ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। পাট খাতে তিনভাবে সহায়তা দেওয়া হবে। এর মধ্যে বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্যে ২০ শতাংশ, পাটজাত চূড়ান্ত পণ্যে ১২ শতাংশ ও পাট সুতায় ৭ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। ওষুধ জাতীয় পণ্য, মাংস ও প্রক্রিয়াজাত করা মাংস রফতানিতে ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়িতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ, হিমায়িত মাছ রফতানিতে ২ থেকে ৫ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে ১৫ শতাংশ, সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে অবস্থিত কারখানা বা বাইরের কারখানার মধ্যে যাদের নিজস্ব বর্জ্য পরিশোধন কারখানা রয়েছে সেগুলোতে উৎপাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড চামড়া রফতানিতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। কৃষিপণ্য আলু ও পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত পার্টিকেল বোর্ড রফতানিতে ২০ শতাংশ, ফার্নিচারে ১৫ শতাংশ, শস্য ও শাক-সবজির বীজ, আগর ও আতর রফতানিতে ২০ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারিতে ১৫ শতাংশ, সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি জুতা ও ব্যাগ রফতানিতে ১৫ শতাংশ, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় পণ্য, দেশে তৈরি সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক দ্রব্য রফতানিতে ১০ শতাংশ। ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের মধ্যে মেডিকেল ও সার্জিক্যাল পণ্য, হাতে তৈরি পণ্য, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, রগ, শিং থেকে তৈরি পণ্য, পেট বোতল, পেট বোতল থেকে তৈরি পলিইস্টার স্টাপল ফাইবার, ফটোভোলাটিক মডিউল, মোটরসাইকেল, রাসানিক পণ্য, রেজার ও রেজার ব্লেডস, সিরামিক পণ্য, টুপি, কাঁকড়া ও কুচে, বিভিন্ন ধাতব পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও কিচেন পণ্য, জাহাজ রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। চাল রফতানিতে ১৫ শতাংশ, বিশেষায়িত অঞ্চল বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত কারখানাগুলোর তৈরি পোশাক, কৃষি পণ্যে ৪ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে। এর আগে এ বিষয়ে একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সার্কুলার জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। রফতানিকারকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ঘোষিত নগদ সহায়তা রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।

[ad_2]

সাভারের ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নারী পোশাক শ্রমিক নিহত

0

[ad_1]

সীমা আক্তার ছোঁয়া, সাভার প্রতিনিধি :

সাভারের আমিনবাজারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী বেলি আক্তার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে গাবতলী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পোশাক শ্রমিক বেলি আক্তার রংপুর জেলার পীরগাছা থানার দাদন গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। নিহত বেলি আক্তার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ম্যানুফেকচার কোম্পানি লিমিটেড কারখানার অপারেটর ছিলেন৷ তিনি আশুলিয়ার বাইপাইলের বুড়ি বাজার এলাকায় তার বোন রেলি বেগমের সঙ্গে থাকতেন।

নিহতের বোন রেলি বেগম বলেন , আমরা ২ বোন বাইপাইল এলাকার বুড়িবাজার এলাকায় বসবাস করতাম৷ আমার বোন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের বর্ধিত এলাকার একটি কারখানায় কাজ করতো। আজও সে কারখানায় কাজে যায়। পরে কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেলে আমার বোন একই কারখানার এক সুপার ভাইজারের সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার পথে ট্রাকচাপায় মারা যায়।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান বলেন, সকালে বালুবোঝাই ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল এমন সময় আমিনবাজার স্ট্যান্ড পার হয়ে গাবতলী ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেল ওভারটেক করতে গিয়ে চাকা পিছলে পড়ে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল চালক রাস্তার বা পাশে মাটিতে পড়ে যায় ও মেয়েটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। পরে পেছনে থাকা ট্রাকের চাকা মেয়েটির শরীরের উপর দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া এ ঘটনায় ট্রাক ও চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। আটকৃত ট্রাকচালক রঞ্জু গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা।

[ad_2]

চকরিয়ায় ট্যাংক লরি ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত

0

[ad_1]

 চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়ায় ট্যাংক লরি ও সিএনজি অটোরিক্শার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এ সময় শিশুও চালকসহ আহত হয়েছে ৬ জন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মা-মেয়ে হলেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামাঘাট এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ও মেয়ে জেসমিন আক্তার (১৮)।
আহতরা হলেন, হারবাং এলাকার দুদু মিয়া (৪৭) ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪০), বানিয়ারছড়া এলাকার বুলবুল জান্নাত (৩০) ও তার মেয়ে তানিয়া সুলতানা (৬)।

পরিবারের লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে পেকুয়ার মগনামা থেকে গর্ভবতী মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে চকরিয়া আসছিলেন রোকেয়া বেগম। এসময় মহাসড়কের বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকায় পৌছলে চট্টগ্রামমুখি একটি ট্যাংকলরি সিএনজি অপোরিক্শার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজি অটোরিকশাটি ছিটকে পড়ে সড়কের পাশের খাদে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় মা রোকেয়া বেগম ও মেয়ে জেসমিন আক্তার। আহত হয় সিএনজি চালক ও অপর ৫ যাত্রী।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

[ad_2]

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

0

[ad_1]

বদিউজ্জামান রাজাবাবু,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চকপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাবলু হক (৩৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে উপজেলার চাকপাড়া-উনিশবিঘী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলু হক শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন বাবুপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় বিএসএফ’র গুলিতে মারা যান তিনি। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।

শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হক সায়েম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন বাবলু হক বেশ কিছুদিন থেকে এই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতো। হঠাৎ সকালে জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। তার মরদেহ নিয়ে চলে গেছে বিএসএফ। পরে ভারতে অবস্থানরত কিছু মানুষ আমাদের কাছে ছবি পাঠালে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাজপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজামুল হক বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহতের ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আমাদের কয়েকজন লোক সেখানে গেছে। বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা জানতে পেরেছি চাকপাড়া সীমান্তের ওপারে একজন বাংলাদেশি নাগরিক মারা গিয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

[ad_2]

এস আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা

0

[ad_1]

চট্টগ্রাম ভিত্তিকশিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বিদেশে অর্থ বিনিয়োগ, স্থানান্তর নিয়ে ওঠা অভিযোগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা (স্টেটাসকো) দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

ফলে গত ৬ আগস্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তী যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রীফারজানা পারভীনের আবেদনে শুনানির পর বুধবার এআদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

শুনানির পর হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা দিয়ে চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গবেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি শুনানির তারিখ রেখে চেম্বার আদালত আদেশ দেন। ওই দিন আবেদনটি কার্যতালিকায় ১০ নম্বর ক্রমিকের পরে থাকবে

[ad_2]