Wednesday, February 5, 2025
26 C
Dhaka
Home Blog Page 3

বে টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু অক্টোবরে

0

[ad_1]

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি বে-টার্মিনাল নির্মাণ। সময়ের সঙ্গে তা চট্টগ্রাম বন্দরের প্রয়োজনে রূপান্তর হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরকেও আগামীর বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রস্তুত হতে হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ ধারাবাহিকতায় অক্টোবরে শুরু হচ্ছে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান।

তিনি প্রস্তুতি হিসেবে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি বন্দরে বেশকিছু টার্মিনাল ও শেড নির্মাণের কথা বলেন।

চবক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অক্টোবরে শুরু হচ্ছে বে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। সেখানে বেশ কিছু চ্যানেল তৈরি করা হবে। এমনিতে ওখানের ড্রাফট রয়েছে প্রায় ১২ মিটার। জোয়ার-ভাটা হিসেব করে ১৪ মিটারের জাহাজ ভেড়ানো হবে। বে টার্মিনাল তৈরি হওয়ার পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এবং বেশ কিছু টার্মিনাল ও শেড তৈরি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সিঙ্গাপুর বন্দরের মতো আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।’

চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিকায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একসময় বন্দর সদরঘাট ও আশপাশের এলাকা পর্যন্ত ছিল। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি পর্যন্ত পৌঁছেছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে হ্যান্ডলিং করা যাবে ১ লাখ টন ওজনের পণ্যবাহী কার্গো এবং ১০ হাজার টিইইউস কনটেইনারবাহী জাহাজ।’

‘গত এক যুগে বন্দরে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বহির্নোঙরের আওতা বৃদ্ধি, ভিটিএমআইএস, ডিজিটালাইজেশন, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অত্যাধুনিক কী গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজন উল্লেখযোগ্য। আমাদের এখন লক্ষ্য আঞ্চলিক পণ্য পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া।’

বন্দর ইকুইপমেন্টের দিক থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২২-২৩ সালে ২টি ৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল ক্রেন, ২টি ১০০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল ক্রেন, ৬টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন ৩৪টি কিউজিসি এবং ২টি কন্টেইনারে মোভার বন্দরের বহরে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪টি ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন বহরে যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন ফ্লিটে রয়েছে। এছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৬ লাখ বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এ ইয়ার্ডসমূহে কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস থেকে ৫৩ হাজার ৫১৮-তে উন্নীত হয়েছে । লালদিয়ার চর থেকে ৫২ একর জায়গা উদ্ধার করে সেখানে কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরে কেমিক্যাল শেড তৈরি করা হচ্ছে এবং মালটিপারপাস কার শেড তৈরি করা হয়েছে।’

চট্টগ্রামবাসীকে কর্ণফুলীকে বর্জ্যমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের অনেক বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। এ কারণে নদীর গভীরতা দিন দিন কমছে। অনেক বর্জ্য আমরা সরিয়েছি। এটি প্রাকৃতিক চ্যানেল। আগামী বছরের মধ্যে ১১ মিটার বা সাড়ে ১১ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানো সম্ভব হবে আশা করি। এ জন্য নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। নয়তো চট্টগ্রাম বন্দরে বড় জাহাজ আসতে পারবে না। বড় জাহাজ ভিড়তে না পারলে ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ কমাতে পারবে না। এতে বেশি দামে জিনিস কিনতে হবে। যা পুরোপুরি চট্টগ্রামবাসীর জন্য ক্ষতি।’

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান এখন ৬৪তম। তাই চট্টগ্রাম বন্দরও আন্তর্জাতিক বন্দরের নীতি অনুসারে চলবে। এখানেও প্রাইভেট অপারেটর নিয়োগ হবে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচাইয়ের মাধ্যমে। একইসঙ্গে নতুন প্রযুক্তি আসবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। অনেক দেশ আমাদেরকে অনুরোধ করে চট্টগ্রাম বন্দর যাতে তাদের সঙ্গে কাজ করে। এটি খুবই সন্তোষজনক বিষয় যে, বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী চট্টগ্রাম বন্দরে বিনোয়াগ করতে আগ্রহী। অর্থাৎ আমরা সবার আকর্ষণের একটি জায়গায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।’

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য শহীদুল আলম, সচিব ওমর ফারুক, পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদসহ সংস্থাটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

[ad_2]

ময়মনসিংহে শিক্ষা কর্মকর্তার মামলায় শিক্ষকের কারাদন্ড

0

[ad_1]

আব্দুল মান্নান পল্টন,ময়মনসিংহ ব্যুরো:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে গৌরীপুর উপজেলার ৫০ নম্বর ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কায়েস আল কায়কোবাদ ওরফে লাজুক মাস্টারকে (৪০) দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল ময়মনসিংহ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পি পি) মো. মসিউর রহমান  এ প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ২১ আগস্ট আসামির উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. বজলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

পি পি মো. মসিউর রহমান জানান, তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীনের ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রচার করেন। আদালতে ওই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি লাজুক মাস্টারকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

জানা যায়, লাজুক উপজেলার ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের কাছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চারজন শিক্ষকের বদলির সুপারিশ করেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসার এতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে লাজুক ও তার সহযোগীরা শিক্ষা কর্মকর্তার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রচার করেন।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন লাজুকসহ তিনজনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার রায়ে অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগসহ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রুমা ও বাপ্পী।

[ad_2]

চাহিদা কমলেও নিত্যপণ্যের দাম চড়া

0

[ad_1]

রাজিব শর্মা »

টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত নগরের অর্ধ শতাধিক এলাকাসহ তার পাশের বিভিন্ন এলাকা। এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে সবকিছুতেই। এমনকি বাদ যায়নি নিত্যপণ্যের বাজারও। যদিও দেশের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই- খাতুনগঞ্জে জলাবদ্ধতার তেমন বড় প্রভাব না পড়লেও প্রায় পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে খাতুনগঞ্জে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তবুও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া নগরের অন্য বাজারে নিত্যপণ্যেও সংকট না থাকলেও হঠাৎ করে জলাবদ্ধতা ও সরবরাহের কৃত্রিম সংকট ইস্যুতে সব পণ্যের বাজার বেশ চড়া। এতে কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের কারণে শ্রমজীবী মানুষের আয়ও কমেছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, জলাবদ্ধতায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া পানি উঠলে তা নেমে যায়। হঠাৎ এভাবে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো অমানবিক।

এদিকে বিক্রেতারা বলেন, হঠাৎ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াতেই প্রায় মালামাল নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল তেমন আসছে না যার ফলে নিত্যপণ্যের সাময়িক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও রেয়াজউদ্দিন বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে দেখা যায়, গত দুদিনের ব্যবধানে আদা, রসুন পেঁয়াজে দাম বেড়েছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আমদানির যে মানের পেঁয়াজ গত রোববারও পাইকারি বাজারে ৩১ টাকা বিক্রি করা হয়েছিল তা গতকাল কেজিপ্রতি ১২ টাকা বেড়ে বিক্রি করা হয়েছে ৪১ থেকে ৪৩ টাকায়। আর আমদানির আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা গতকাল কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া গত দুদিন আগেও আমদানির রসুন কেজিতে বিক্রি হয়েছিল ১৭৫ টাকায় তা গতকাল বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকার বেশি। এভাবে চাল, ডাল, লবণ, শুকনো মরিচ, হলুদ, আটাসহ প্রায় নিত্যপণ্যের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।

হঠাৎ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিছ বলেন, ‘কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিল। তাছাড়া বন্দরে জাহাজ ভিড়তে পারেনি। যার ফলে আজকে (মঙ্গলবার) একটু বাড়তির দিকে। তবে এ পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে সাময়িক ধরা যায়।’

চাক্তাইয়ের ফোরকান ট্রের্ডাসের স্বত্তাধিকারি মো. ফোরকান বলেন, ‘পেঁয়াজের গুদামের মাল নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে দাম একটু বাড়তির দিকে।

এদিকে রেয়াজউদ্দিনবাজার ও বকসিরহাটে সরেজমিনে দেখা যায়, গত দুদিন আগে যে লেয়ার মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হয়েছিল প্রতি ডজন ১৩৫ টাকায় তা ৩০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর এতদিন ধরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৫৫ টাকায়, তা গতকাল বাজারে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগি। গতকাল বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায় যা গত শনিবারও বিক্রি হয়েছিল ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া ভোজ্যতেল সয়াবিন ও চিনির দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও ঐ দামে এমনিতে কোথাও মিলছে না এসব পণ্য। গতকাল বাজারে চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩৩ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায়, যা সরকার নির্ধারণ দর নির্ধারণ করেছেন ১২০ টাকায়। বাজারে পাম তেল বিক্রি করছে লিটার প্রতি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। যা সরকারের নির্ধারিত দর ছিল ১৩৩ টাকা। সে হিসেবে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম বাড়তি নিচ্ছে ২৭ থেকে ৩৭ টাকা।
বক্সিরহাটে নিত্যপণ্যের বাজার করতে আসা টেক্সিচালক মো. হুদা বলেন, ‘হঠাৎ ব্যবসায়ীরা জলাবদ্ধতার ইস্যুতে সকল পণ্যের দাম বাড়তি নিচ্ছে। এভাবে নানা ইস্যুতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চিন্তা করলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বাজার আসা যাবে না।’

আলী আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা হয়েছে কিছু স্থানে, অথচ কোন পণ্যের তেমন ক্ষতি হয়নি। ব্যবসায়ীরা তাদের মণগড়া দামে পণ্য বিক্রি করছে।কেন দাম বাড়ছে তা জিজ্ঞেস করারও মানুষ এদেশে নেই। ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের দখলে নিত্যপণ্যের বাজার।’

বকসির হাটের ডিম ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম বলেন, ‘আজকে থেকে ডিমের দাম বেড়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে কোন ডিম না আসাতেই আড়তদারেরা আমাদেরকে বাড়তি দরে বিক্রি করছে। গত দুদিন আগেও আমরা ডিম বিক্রি করেছি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। তা আজকে ১৬৫ টাকা ডজনে বিক্রি করতে হয়েছে।’

ব্রয়লার মুরগি পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘দেশের যেসব স্থান থেকে মুরগি সরবরাহ করা হতো, জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসায়ীদের মুরগি সরবরাহ সম্ভব হয়নি। তাছাড়া যেসব স্থান থেকে মুরগি কিনেছি তারা চড়া দামে মুরগি বিক্রি করছে। যার ফলে মুরগির বাজার চড়া।’

[ad_2]

শিক্ষককে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার

0

[ad_1]

সাভারে গোলাম কিবরিয়া(৪৩) নামে এক সাবেক শিক্ষককে হত্যার  রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ইমনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে  র‌্যাব – ৪,৬,১৩ এর একটি আভিযানিক  দল ।

গতকাল সোমবার রাতে যশোর, ঝিনাইদহ ও রংপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডের পর লুটকৃত ৫ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য  জানান কমান্ডার মঈন খান।

র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত রোববার বিকেল তিনটার দিকে সাভার পৌরসভার ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় গোলাম কিবরিয়া (৪৩) নামে সাবেক এক স্কুল শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে ‘এই ব্যক্তি সমকামী করে পুলিশ ভাই, আমরা তাই মেরে ফেলেছি, ভাই ও অবৈধ কাজ করে……..আমরা ইসলামের সৈনিক’ লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই সাভার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে র‌্যাব-৪, ৬ ও ১৩-র একটি আভিযানিক দল যশোর, ঝিনাইদহ ও রংপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মূল পরিকল্পনাকারী মো. ইমন খান (২৩) ও মো. সাগর (২২) এবং তাদের সহযোগী মো. ছাদেক গাজীকে (২২) গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব কমান্ডার মঈন খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইমনের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তার সাগর একজন অটোরিকশাচালক। তার রিক্সায় যাতায়াতের সুবাদে দুই বছর আগে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। তার মাধ্যমে ইমনও পরিচিত হন।

তারা গোলাম কিবরিয়ার বাসায় যাতায়াত করতেন। এর সুবাদে আলমারিতে রাখা জমি ক্রয়-বিক্রয়ের বিপুল পরিমাণ টাকা তাদের নজরে আসে। এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে তারা।

পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টায় ইমন ও ছাদেক গোলাম কিবরিয়ার বাসায় যান। রাতের হালকা নাস্তা শেষে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ছাদেক তার গলা চেপে ধরে এবং ইমন মুখ চেপে ধরে। লুঙ্গী দিয়ে হাত-পা বেঁধে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ছাদেক চিরকুট লিখে মরদেহের পাশে রেখে দেয়। হত্যার সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর অটোরিকশা নিয়ে ভিকটিমের বাসার আশেপাশে অবস্থান করছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পরে তারা বিছানার নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন লুট করেন।

গ্রেপ্তারদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র‍্যাব।

[ad_2]

অনলাইনেই ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসীরা

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

এখন থেকে বিদেশে বসেই অনলাইনে দেশের যেকোনো ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা। এ হিসাব থেকে দেশের পুঁজিবাজারে সহজে বিনিয়োগ করতে পারবেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকের এডি (অথরাইজড ডিলার) শাখার মাধ্যমে হিসাব খুলে টাকায় লেনদেন করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের আগে ব্যাংক হিসাব খুলতে হলে সশরীরে কাগজপত্র নিয়ে আসতে হত। এখন আর হিসাব খুলতে সশরীরে আসতে হবে না। তারা বিদেশ বসেই অনলাইনে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢুকে ব্যাংক নন রেসিডেন্ট ইনভেস্টারস টাকা অ্যাকাউন্ট-এনআইটিএ অর্থাৎ ‘নিটা’ হিসাব খুলতে পারবেন। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে কিংবা আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমেও অর্থ জমা করা যাবে। ‘নিটা’ হিসাবের মাধ্যমে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগ ও শেয়ার লেনদেন করতে পারবেন প্রবাসীরা। খবর ঢাকাপোস্টের।
ডলার সংকট কাটাতে ও দেশের বিনিয়োগ সহজ করতে নীতিমালা সহজিকরণসহ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসাবে গত জুনে বাংলাদেশে কোম্পানি অনুমোদন ও নিবন্ধনের আগেই সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগের বিপরীতে প্রস্তাবিত কোম্পানির নামে অস্থায়ী এফসি (ফরেইন কারেন্সি) হিসাব খোলার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত জানুয়ারিতে অনিবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ‘নিটা’ হিসাব খোলার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়। ‘নিটা’ হচ্ছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগে অনিবাসীদের পরিচালিত টাকায় ব্যাংক হিসাব। বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে সমপরিমাণ স্থানীয় মুদ্রা টাকা তাদের ‘নিটা’ হিসাবে জমা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকগুলোর অনলাইন প্লাটফর্মে প্রবাসীদের হিসাব খুলার জন্য তথ্য পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করার সুযোগ থাকতে হবে। এজন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থায় নিতে হবে। কোনো প্রবাসী আবেদন করলে তা অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে দিতে পারবে ব্যাংক। এছাড়া এ হিসাবে আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমেও আমানত জমা করতে পারবেন গ্রাহক। এজন্য ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক লেনদেন সুবিধা যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরস্পরের প্রতি দোষারোপ নয়, সমন্বিত প্রচেষ্টা চাই
পরবর্তী নিবন্ধএশিয়া কাপ স্কোয়াডে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ-আফিফ!

[ad_2]

সরকারী বিদ্যালয় মাঠে মাদক সেবন, ৯ ব্যক্তিকে জেল-জরিমানা

0

[ad_1]

 কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আরআরএন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাদক সেবন ও মাতলামি করে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৯ ব্যক্তিকে অর্থদন্ড ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) সকালে যৌথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া। 

এর আগে সোমবার (২১ আগষ্ট) রাতে ওই দুই বিচারক পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৯ ব্যক্তিকে জেল ও জরিমানার দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো কালীগঞ্জ পৌরসভার দড়িসোম গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান, ইমাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াজ উদ্দিন, জালাল উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের (২২), মৃত রশিদের ছেলে সোহেল (৪০), আব্দুল রহিমের ছেলে শাওন মিয়া (২৬), আ: ছাত্তারের ছেলে জনি মিয়া (৩২), কাজল মিয়ার ছেলে সোহান (২৩) ও ভাদার্ত্তী এলাকার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ (৪২) এবং উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের শিংলাব গ্রামের রবি চন্দ্র শীলের ছেলে উদয় চন্দ্র শীল।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার‌ দিকে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক গাঁজা ও মদপান করে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করছে এমন তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তদের অর্থদন্ড জরিমানা ও কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।

সূত্র আরো জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উদয় চন্দ্র শীলকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, ইয়াজ উদ্দিনকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং মজিবুর রহমানকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

অন্যদিকে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জোবায়েরকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ৩  হাজার টাকা জরিমানা, সোহেলকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, শাওনকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, জনি মিয়াকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা, শহিদুল্লাহকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং দন্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী সোহানকে ১ হাজার টাকা জরিমানার দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

জনসাধারণের শান্তি রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ভ্রাম্যমান আদালতের দুই বিচারক। এ সময় বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুল ইসলামসহ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

[ad_2]

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ব্যাংক বহির্ভূত নগদ টাকা বেড়েছে

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ধীরগতি ও নির্বাচন পূর্ববর্তী অনিশ্চয়তায় এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক বহির্ভূত টাকা বা মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৩৬,০০০ কোটি টাকা বেড়ে চলতি বছরের জুন শেষে ২.৯১ লাখ কোটিতে পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জুন শেষে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২.৩৬ লাখ কোটি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে মানুষের হাতে টাকা বেড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি। একটি প্রাইভেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সুদহার ১০ শতাংশে সীমিত করে দেওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমানতের হার বাড়িয়ে আরও বেশি নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারছে না। এ অবস্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালন ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত আয় থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের ওপর সর্বাধিক ৮ শতাংশ সুদহার দিচ্ছে; তবে চলমান মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে এই হার যথেষ্ট নয়। ফলে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে নগদ টাকা উঠিয়ে হাতে রাখতেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ব্যাংকারদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ধীর গতির কারণে মানুষের হাতে নগদ টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার বদলে নিজের কাছে নগদ টাকা রাখকেই বেশি নিরাপদ মনে করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ বেড়েছে। এরমধ্যে অন্যতম কারণ হলো চাহিদার তুলনায় নতুন টাকা সার্কুলেশন বেড়েছে, যা এখন মানুষের হাতে রয়েছে।’
এছাড়া, গত বছরের মার্চ থেকে মূল্যস্ফীতি ব্যাপক পরিমাণে বাড়ছে, যার তুলনায় আমানতের সুদহার কম হওয়ায় মানুষের হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৬৯ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭.৪৮ শতাংশ। আর মে মাসে, মাসিক মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯.৯৪ শতাংশ, যা বিগত ১১ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দ্রব্যমূল্য ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় খরচ মেটাতে মানুষ বেশি পরিমাণ হাতে টাকা রাখছে। ব্যাংকাররা জানান, ডলার সংকট, রেমিট্যান্সের পতন ও ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বিদায়ী অর্থবছরে আমানতের প্রবৃদ্ধি ব্যাপকহারে কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংক আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮. ৪৪ শতাংশ, যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২৩ সালের জুন শেষে কারেন্সি ইন সার্কুলেশনের পরিমাণ রয়েছে ৩.১১ লাখ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৫৬ লাখ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২১ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২.২৬ লাখ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিউমোনিয়ার সর্বাধুনিক টিকার ট্রায়াল শুরু হচ্ছে কলকাতায়

[ad_2]

গভীর সমুদ্রে ০৩ দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৩ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার

0

[ad_1]

গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ০৩ দিন ধরে ভাসতে থাকা ১৩ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। সোমবার (২১ আগস্ট ২০২৩) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ এফবি “রাজু’’ নামক একটি ফিশিং বোট চট্টগ্রাম আকমল আলী ঘাঁট হতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে। একপর্যায়ে (১৯ আগস্ট) ৪:৩০ টায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে বোটটি নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ২১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ বোটটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জাহাজ অপূর্ব বাংলা এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুর রহমান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে সকাল ৯ টায় সমূদ্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উল্লেখ্য জেলেরা সমূদ্রে তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। উত্তাল সমূদ্রে টানা তিন ঘন্টা অভিযান চালিয়ে বিপদজনক ভাবে ভাসতে থাকা বোটটি আনুমানিক দুপুর ১২ টায় ১৩ জন জেলেসহ গভীর সমুদ্রে সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড হতে আনুমানিক ১০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পূর্ব হতে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত সকলেই নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। তারপর জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার সরবরাহ করা হয়। উদ্ধার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য কোস্ট গার্ড জাহাজ কর্তৃক জেলে সহ বোটটি কোস্ট গার্ড বার্থ পতেঙ্গায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও বলেন, ফিশিং বোটটি উদ্ধারের পর ফিশিং বোটের মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং জেলেদের মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

[ad_2]

কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ | Suprobhat Bangladesh

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

নানা সুবিধা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও আশানুরূপ বাড়ছে না প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ। আগস্টের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ০ পয়সা ধরে) ১১ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা।
চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগস্ট মাস শেষে (৩১ দিনে) প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭৯ কোটি ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এই অংক আগের মাস ও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কম হবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আর আগের বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। খবর ঢাকা পোস্ট।
রোববার (২০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৮ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৯ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখবে স্থলবন্দরগুলো
পরবর্তী নিবন্ধওটিটি-তে মুক্তি পাচ্ছে ‘সুড়ঙ্গ’

[ad_2]

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকা হতে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

0

[ad_1]

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকা হতে ৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। গতকাল ১৯ আগস্ট বিকাল ৩ টায়  দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকায় র‌্যাব-১০ এই অভিযান চালান। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মোঃ রানা মোল্লা (২২) ও মোঃ সোহানুর রহমান সোহান (২৭)।

 এসময় তাদের নিকট থেকে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল এবং ০২টি মোবাইল ফোন  উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে মোটরসাইকেলযোগে রাজবাড়ীসহ  দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।

[ad_2]

পণ্য আমদানি কমায় বাজারে অগ্নিমূল্য

0

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

বাজারে প্রায় সব পণ্যের অগ্নিমূল্যে অস্থির ক্রেতারা। আদা, রসুন, মসলার মতো নিত্যপণ্যের পাশাপাশি লাগামহীন ছুটছে অন্য ভোগ্যপণ্যের দামও। ব্যবসায়ীরা প্রধানত দায়ী করছেন ডলার সংকট ও এলসি খোলার সমস্যাকে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফেলেছে বাড়তি চাপে। চলতি বছর দেশের পণ্য আমদানিও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার একটি বড় প্রভাব পণ্যের দামে পড়ছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্য আমদানি কমার কারণে স্বাভাবিকভাবে যতটুকু সংকট তৈরি হয়েছে, এর চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে পণ্য মূল্যস্ফীতি। আমদানি সংকটের অজুহাতে অনৈতিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া আছে সিন্ডিকেটের প্রভাব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, গত অর্থবছর (২০২২-২৩) দেশে ৬ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ কম। ওই অর্থবছর (২০২১-২২) আমদানির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। এটা অর্থের হিসাবে। পরিমাণের দিক থেকে পরিসংখ্যান দেখলে কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৩ কোটি ৩১ লাখ টন। যেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৩ কোটি ৮২ লাখ টন। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমদানি পণ্যের পরিমাণ কমেছে ৫১ লাখ টন বা ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। খবর জাগোনিউজ।
দেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয় ৯ দশমিক ২১ মেট্রিক টন পণ্য। এসব পণ্যের আমদানি মূল্য ৪২০ লাখ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে আমদানি কম হলে ব্যয়ও কমার কথা। কিন্তু উল্টো খরচ বা আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১০ দশমিক ০৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬১ হাজার ৬৩২ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ১৫৯ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ দিয়ে শুল্কায়নের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয় ৮ দশমিক ৮৫ কোটি মেট্রিক টন পণ্য। এসব পণ্যের আমদানি মূল্য ৪৬২ লাখ কোটি টাকা। জানা যায়, গত বছর বেশি কমেছে শিল্পের কাঁচামাল, বিলাসবহুল পণ্য ও ভোগ্যপণ্য আমদানি। এ তিন খাতের ব্যবসায়ীরাই যার প্রধান কারণ হিসেবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটের কথা বলেছেন। এছাড়া গত অর্থবছরের বেশ কিছু সময় বিলাসীপণ্য ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের করভার বাড়ানো, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ৩০ লাখ ডলারের বেশি ঋণপত্র খোলার বিষয়ে তদারকির কারণে আমদানি কমেছে।
বাজারের তথ্য বলছে, আমদানি সংকটে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে খাদ্যপণ্যের। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য বলছে, গত এক বছরের ব্যবধানে আমদানিনির্ভর চিনির দাম বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এসময় ৮৫ থেকে ৯০ টাকার চিনি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। এছাড়া বাজারে গুঁড়া দুধের দাম ১৭ শতাংশ, ধনে, জিরা, লবঙ্গের মতো গরম মসলার দাম ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া আদা-রসুনের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। আদার দাম প্রায় সাড়ে ৩শ শতাংশ এবং রসুনের দাম ৮৭ শতাংশ বেশি। একশো টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়া এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে ঠেকেছে।
আবার কাঁচামাল আমদানি কম হওয়ায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ছিল রড ও ইস্পাত পণ্যের। তথ্য বলছে, গত এক বছরে প্রতি টন রডের দাম প্রায় ২৫ হাজার পর্যন্ত বেড়ে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। একই অবস্থা লেখার কাগজের ক্ষেত্রেও। গত এক বছরে লেখার কাগজের দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। এছাড়া গত এক বছরে প্রাণী খাদ্যশিল্পের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের কাঁচামাল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, প্লাস্টিক পণ্য ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা আমদানি সংকটের কথা জানিয়েছেন। জানতে চাইলে দেশের অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, এবছর খাদ্যশস্য আমদানি অনেক কমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের অভাবে পণ্য উৎপাদন কমিয়েছে। আবার বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামের একটা প্রভাব ছিল এবছর। তিনি বলেন, এসব কারণে পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত হওয়ায় দাম বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
আবুল বশর চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে পণ্য আমদানি করতে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ডলার। কয়েক দশক ধরে পণ্য আমদানি করলেও ডলার নিয়ে এমন সংকটের মুখে পড়িনি কখনো। এলসি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সমস্যা হয়েছে পণ্য দেশে আনার পরও। ডলার না থাকায় দিনের পর দিন পণ্য সাগরে ভেসেছে এবার। এতে খরচ বেড়েছে আমদানিকারকদের। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের স্বাভাবিক সময়ের মতো আমদানি করার সামর্থ্য নেই এটা সত্য। সার্বিক রিজার্ভ কমেছে এসময়, অনেক পাওনা রয়েছে যেগুলো অপরিশোধিত। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে পণ্য আমদানি সাশ্রয় হ্রাস একটি বড় কৌশল। তিনি বলেন, তবে আমদানি কমে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানি কমায় ভোক্তারা পণ্যের দামের চাপে পড়ছে। আবার যতটুকু মূল্যস্ফীতির চাপ তৈরি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি বাজারে সিন্ডিকেট করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। যতটুকু প্রকৃত চাপ রয়েছে, তার চেয়ে বাড়তি চাপ দেখানো হচ্ছে।
এবছর রাশিয়া-ইউেক্রেন যুদ্ধের কারণেও পণ্য আমদানিতে বড় প্রভাব ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ছিল, যা এক সময় রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। ওই সময় বেশকিছু পণ্য আমদানি প্রায় শিথিল হয়ে পড়ে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর দেশ দুটি থেকে বাংলাদেশে সার, গম, তেলবীজসহ বেশকিছু পণ্য আমদানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে যায়।

[ad_2]

সেভ দ্য রোড-এর দাবি মেনে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্তে অভিনন্দন

0

[ad_1]

সেভ দ্য রোড-এর দাবি মেনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের দেয়ার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  

সেভ দ্য রোড-এর  সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন “ ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ৭ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছি আমরা। ৭ দফার অন্যতম ছিলো নিহতর পরিবারকে ১০ লাখ ও আহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

 সেই দাবি মেনে সরকার বলেছে- সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রম আগামী ২২ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেভ দ্য রোড নেতৃবৃন্দ নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আগামীতে তা ১০ লাখ টাকা করারও দাবি জানানসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।    

[ad_2]