Dhaka ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Uncategorized

যুক্তরাজ্যে আর্থিক সংকটে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন কোম্পানি

Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৩৮ Time View

[ad_1]

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়েছে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এই কোম্পানিগুলো ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল মিডিয়া বিসনাউ এ তথ্য জানায়।

সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে আবাসনের ব্যবসা করেন। তার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে তার সম্পদ ও অর্থ জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে জানা গেলো তার তিনটি আবাসন কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক আওয়ামী মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচারের তদন্ত করছে।

সাইফুজ্জামানের এই কোম্পানিগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়েছে গ্র্যান্ট থ্রন্টন। তারা গত ২২ মে সাবেক এই আওয়ামী মন্ত্রীর সাদাকাত প্রোপার্টিস লিমিটেড, জারিয়া প্রোপার্টিস লিমিটেড এবং জেবা প্রোপার্টিস লিমিটেডের প্রশাসনের দায়িত্ব পায়।

গত বছর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ কিনেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। যারমধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই তার ৩৬০টি বাড়ি ছিল।

তিনটি কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়া এবং সেগুলো ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ যাওয়ার ব্যাপারে সাইফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিসনাউ। তবে তিনি কোনো জবাব দেননি।

গ্র্যান্ট থর্টনের এক মুখপাত্র বিসনাউকে জানিয়েছেন, ঋণ দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলো তারা ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ নিয়ে গেছেন। এখন তারা এই কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন অথবা ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিসনাউ জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানের এই তিনটি কোম্পানিরই ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংকের কাছে বিপুল বকেয়া রয়েছে। নথি অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিনিয়োগ সম্পত্তি রয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ১৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

[ad_2]

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
.design-developed a { text-decoration: none; color: #000000; font-weight: 700;

যুক্তরাজ্যে আর্থিক সংকটে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন কোম্পানি

Update Time : ০১:৩৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

[ad_1]

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন তিনটি কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়েছে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় এই কোম্পানিগুলো ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল মিডিয়া বিসনাউ এ তথ্য জানায়।

সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে আবাসনের ব্যবসা করেন। তার বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে তার সম্পদ ও অর্থ জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে জানা গেলো তার তিনটি আবাসন কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক আওয়ামী মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচারের তদন্ত করছে।

সাইফুজ্জামানের এই কোম্পানিগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়েছে গ্র্যান্ট থ্রন্টন। তারা গত ২২ মে সাবেক এই আওয়ামী মন্ত্রীর সাদাকাত প্রোপার্টিস লিমিটেড, জারিয়া প্রোপার্টিস লিমিটেড এবং জেবা প্রোপার্টিস লিমিটেডের প্রশাসনের দায়িত্ব পায়।

গত বছর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ কিনেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। যারমধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যেই তার ৩৬০টি বাড়ি ছিল।

তিনটি কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়া এবং সেগুলো ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ যাওয়ার ব্যাপারে সাইফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিসনাউ। তবে তিনি কোনো জবাব দেননি।

গ্র্যান্ট থর্টনের এক মুখপাত্র বিসনাউকে জানিয়েছেন, ঋণ দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর সাইফুজ্জামানের কোম্পানিগুলো তারা ‘প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে’ নিয়ে গেছেন। এখন তারা এই কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন অথবা ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিসনাউ জানিয়েছে, সাইফুজ্জামানের এই তিনটি কোম্পানিরই ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংকের কাছে বিপুল বকেয়া রয়েছে। নথি অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিনিয়োগ সম্পত্তি রয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ১৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

[ad_2]