কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ | Suprobhat Bangladesh

biplobibangladesh.com

[ad_1]

সুপ্রভাত ডেস্ক

নানা সুবিধা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের পরও আশানুরূপ বাড়ছে না প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ। আগস্টের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ০ পয়সা ধরে) ১১ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা।
চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগস্ট মাস শেষে (৩১ দিনে) প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭৯ কোটি ডলার বা সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এই অংক আগের মাস ও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কম হবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। আর আগের বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ডলার। খবর ঢাকা পোস্ট।
রোববার (২০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৮ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৯ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রাখবে স্থলবন্দরগুলো
পরবর্তী নিবন্ধওটিটি-তে মুক্তি পাচ্ছে ‘সুড়ঙ্গ’

[ad_2]

Share This Article
Leave a comment