Dhaka ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে পেলেন শিক্ষক অবসর ভাতার চিঠি

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪০ Time View

[ad_1]

তিতাস চক্রবর্তী, খুলনা প্রতিনিধি:

হাসপাতালের বিছানায় বসেই পেলেন অবসর ভাতার চিঠি। অনাকাঙ্খিতভাবে চিঠি পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন অবসরে যাওয়া সহকারি শিক্ষক হরিদাস রায়। মূহুর্তের মধ্যে পরিবর্তন হলো তাঁর চেহারা। আনন্দ আর উচ্ছাস দেখা দিলো তার মধ্যে। এ সময় উপস্তিত ছিল তাঁকে দেখতে আসা সহকর্মী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা ও স্বজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে।

গতকাল সোমবার সকাল সকাল খুলনার স্থানীয় ক্লিনিকে দেখতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম ও তাঁর সহকর্মীরা। সাথে উপহার হিসাবে নিয়ে আসেন অবসর ভাতার চিঠি।নানা জটিলতায় পরে অবসর ভাতার চিঠি তুলে দেন হতাশাগ্রস্থ সহকারি শিক্ষক হারিদাস রায়ের হাতে।

চিঠি পেয়ে হরিদাস রায় বলেন, সত্যিই আজ আমি আনন্দিত। ১৯৮৬ সালে আমি যোগ দেই বটিয়াঘাটা জলমাকচুবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে(পিআরএল)যাই। ২০২৩ সালের ২২জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ অবসরে যাই।এরমধ্যেই আমার অবসরভাতা পাওয়ার কথা।কিন্তু আমি অবসর ভাতা পাইনি। যেহেতু এই স্কুলের জমি নাম জারিতে সমস্যা রয়েছে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অবসর ভাতা বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক হওয়ায় আমাকে এই সংকটে পরতে হয়েছে। আমি নাম জারি করার চেষ্টা করে প্রায় শেষের পথে নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পরেছি। আমার চার মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেটাপ্রতিবন্ধীহওয়ায় নগদ আয়ের পথ নেই বললে চলে। ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করাও প্রায় কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াতেপারে। তারমধ্যে এই উপহার পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, আমি ২৭ আগস্ট দাকোপে যাচ্ছিলাম। হঠাৎকরে ঠিক করলাম জলমাকচুবুনিয়া স্কুলটি পরিদর্শন করবো।

পরিদর্শন কালে প্রধান শিক্ষিকা নির্মলামন্ডল ঘটনাটিজানান এবং বলেন শিক্ষক হরিদাস রায় হাসপাতালের বিছানায়। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারকাছে জানতে চাই। তার কাছ থেকে শুনে সকল জটিলতা কটিয়ে চিঠি করার জন্য অফিসকে নির্দেশ দেই। সেই চিঠি নিয়েই আজ আমার সহকর্মীদের নিয়ে দিতেএসেছি। দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম আলমগীর বলেন, স্কুলের নাম জারি না হওয়ায়একটু সংকট হয়েছিল। তাঁরপর আমি ২৪ আগস্ট তাঁর অবসর ভাতার কাগজটি জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক সমিতির কো চেয়ারম্যানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। যতটুকু শুনেছি তিনি যশোরে থাকাকালেও এমন অনেক কাজ করেছেন।

[ad_2]

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাসপাতালে পেলেন শিক্ষক অবসর ভাতার চিঠি

Update Time : ০২:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

[ad_1]

তিতাস চক্রবর্তী, খুলনা প্রতিনিধি:

হাসপাতালের বিছানায় বসেই পেলেন অবসর ভাতার চিঠি। অনাকাঙ্খিতভাবে চিঠি পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন অবসরে যাওয়া সহকারি শিক্ষক হরিদাস রায়। মূহুর্তের মধ্যে পরিবর্তন হলো তাঁর চেহারা। আনন্দ আর উচ্ছাস দেখা দিলো তার মধ্যে। এ সময় উপস্তিত ছিল তাঁকে দেখতে আসা সহকর্মী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা ও স্বজনেরা। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে।

গতকাল সোমবার সকাল সকাল খুলনার স্থানীয় ক্লিনিকে দেখতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম ও তাঁর সহকর্মীরা। সাথে উপহার হিসাবে নিয়ে আসেন অবসর ভাতার চিঠি।নানা জটিলতায় পরে অবসর ভাতার চিঠি তুলে দেন হতাশাগ্রস্থ সহকারি শিক্ষক হারিদাস রায়ের হাতে।

চিঠি পেয়ে হরিদাস রায় বলেন, সত্যিই আজ আমি আনন্দিত। ১৯৮৬ সালে আমি যোগ দেই বটিয়াঘাটা জলমাকচুবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে(পিআরএল)যাই। ২০২৩ সালের ২২জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ অবসরে যাই।এরমধ্যেই আমার অবসরভাতা পাওয়ার কথা।কিন্তু আমি অবসর ভাতা পাইনি। যেহেতু এই স্কুলের জমি নাম জারিতে সমস্যা রয়েছে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অবসর ভাতা বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষক হওয়ায় আমাকে এই সংকটে পরতে হয়েছে। আমি নাম জারি করার চেষ্টা করে প্রায় শেষের পথে নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পরেছি। আমার চার মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেটাপ্রতিবন্ধীহওয়ায় নগদ আয়ের পথ নেই বললে চলে। ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করাও প্রায় কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াতেপারে। তারমধ্যে এই উপহার পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, আমি ২৭ আগস্ট দাকোপে যাচ্ছিলাম। হঠাৎকরে ঠিক করলাম জলমাকচুবুনিয়া স্কুলটি পরিদর্শন করবো।

পরিদর্শন কালে প্রধান শিক্ষিকা নির্মলামন্ডল ঘটনাটিজানান এবং বলেন শিক্ষক হরিদাস রায় হাসপাতালের বিছানায়। আমি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারকাছে জানতে চাই। তার কাছ থেকে শুনে সকল জটিলতা কটিয়ে চিঠি করার জন্য অফিসকে নির্দেশ দেই। সেই চিঠি নিয়েই আজ আমার সহকর্মীদের নিয়ে দিতেএসেছি। দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম আলমগীর বলেন, স্কুলের নাম জারি না হওয়ায়একটু সংকট হয়েছিল। তাঁরপর আমি ২৪ আগস্ট তাঁর অবসর ভাতার কাগজটি জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক সমিতির কো চেয়ারম্যানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। যতটুকু শুনেছি তিনি যশোরে থাকাকালেও এমন অনেক কাজ করেছেন।

[ad_2]